প্রতিষ্ঠাতার কিছু কথা

"কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠা ও ইহার প্রতিষ্ঠাকালঃ প্রাণ পুরুষ ফা: লুইস এল. পিনোস"

ভূমিকা:

“দারিদ্র ভক্তেরা অভাব অনটনে পড়লে অনেক সময় ফাদারের দারস্থ হত কিছু আর্থিক সাহায্যের আশায়। কখনো কিছু পেত,কখনো নয়। আর্থ-সামাজিক সাহায্য-সহযোগীতার চেয়ে তারা বেশী পেত পালকীয় সেবা। কিন্তু যার নিকট হতে মানুষ আধ্যাত্মিক সেবার পাশাপাশি আর্থিক, সামাজিক, শিক্ষা এবং অন্যান্য দিকে সাহায্য সহযোগিতা, পরামর্শ বেশী পেয়েছে তিনি হলেন সর্বজন শ্রদ্ধেয় ফাঃ এল.পিনোস। তিনি আজ মৃত হলেও বনপাড়াবাসীর নিকট চির স্মরনীয় হয়ে থাকবেন। তিনি ছিলেন একাধারে জন দরদী, বিশিষ্ট চিন্তাবিদ ও শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক, উন্নয়ন সেবক ও সংগঠক। তিনি ছিলেন পথ প্রদর্শক ও দিক নির্দেশক, তিনি ছিলেন অগ্রপথিক। মানুষের দুঃখ দুদর্শা দেখে স্থির থাকতে পারতো না। সদাই ভাবতেন কিভাবে তাদের দুঃখ দূর করা যায়, তাদের সঞ্চয়ী ও স্বাবলম্বী করে তোলা যায়।”

১৯৫৫-৬০ এর দশকে ঢাকা শহর ও ইহার আশে পাশের মিশন গুলোতে খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন আন্দোলন বেগবান হচ্ছিল ফাঃ চার্লস্ জে. ইয়াং এর নেতৃত্বে। কিন্তু সেই আন্দোলনের ঢেউ পদ্মা পার হয়ে এদিকে এতটুকু লাগেনি। প্রয়াত ফাঃ পিনোস মানুষের শোচনীয় অবস্থা দেখে অনেক কষ্ট পেতেন। তিনি বুঝতে পারলেন দান-ধ্যান করে তাদের কষ্ট সাময়িকভাবে লাঘব করা গেলেও স্থায়ী কোন ফল এনে দিবে না, একটি স্থায়ী এবং টেকসই ব্যবস্থার অতি আবশ্যক। দারিদ্র জনগণকে স্বাবলম্বী ও স্বনির্ভর করার লক্ষ্যকে সামনে রেখে স্থানীয় কয়েকজন বুদ্ধিজীবিকে স্বর্গীয় পল আগষ্টিন গমেজ, পিটার পিরিছ, ফ্রান্সিস কস্তা সংগে নিয়ে একটি সমবায় সমিতি গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন এবং পরবর্তীতে খ্রীষ্টভক্তদের সম্মুখে তুলে ধরেন। আশাতিত সাড়া না পেলেও নিরুৎসাহী না হয়ে তিনি এগিয়ে যেতে থাকেন।

তাঁরই আমন্ত্রণে ৩১ অক্টোবর ১৯৬৪ সালে ঢাকা জেলার নাগরী মিশনের বিশিষ্ট সমাজসেবী এবং ক্রেডিট ইউনিয়ন সম্পর্কে অভিজ্ঞ এবং উৎসাহী নাইট ভিনসেন্ট রড্রিক্স (শিক্ষক) বনপাড়ায় আগমন করেন। বিশ্রামের পর ঐ দিনই ফাঃ পিনোস কতিপয় শিক্ষকদের নিয়ে অতিথি মিঃ রড্রিক্স এর সংগে ক্রেডিট সম্পর্কে আলোচনা আরম্ভ করেন। শ্রদ্ধেয় অতিথি সমবায় সমিতি ও ক্রেডিট ইউনিয়ন সম্পর্কে বিশদ বর্ণনা দেন এবং সকলের প্রশ্নের সন্তোষজনক উত্তর দেন। পর দিন ১ নভেম্বর ১৯৬৪ সালের সকালের ধন্যবাদের খ্রীষ্টযাগের পর আগ্রহী ভক্তদের নিয়ে পুরাতন স্কুল ভবনের অফিস কক্ষে (বর্তমান কমিউনিটি সেন্টার -বতর্মান প্যারিশ কাউন্সিল সভা কক্ষ) উপস্থিত হন। সংগে ছিলেন অতিথি মহোদয়। বিপুল করতালির মধ্যে অতিথিকে বরণ করে নেয়া হয়। অতঃপর ফাঃ পিনোস তাঁর ইচ্ছা ব্যক্ত করেন। ব্যক্ত ইচ্ছাকে ঘিরে অতিথি মহোদয় সারগর্ভ বক্তব্য রাখেন এবং সহজ সরল ভাষায় সবকিছু বুঝিয়ে দেন। উপস্থিত সকলের সম্মতির ভিত্তিতে ঐদিনই ৩জন ব্যক্তির নিকট হতে আমানত গ্রহণ করা হয় এবং তাদের সদস্যপদ দেওয়া হয় (জন গমেজ, ইউজিন কস্তা, ভ্যালেনটাইন কেতু রড্রিক্স)। সদস্যপদ দেওয়ার মধ্য দিয়ে জন্ম হয় বনপাড়া খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নের। একটি পরিচালক মন্ডলী গঠন করা হয়,

১। স্বর্গীয় পল আগষ্টিন গমেজ,

২। স্বর্গীয় পিটার পিরিছ,

৩। স্বর্গীয় ফ্রান্সিস গ্রেগরী,

৪। স্বর্গীয় ফ্রান্সিস ক্রুশ,

৫। স্বর্গীয় রাফায়েলপেরেরা,

৬। স্বর্গীয় ফ্রান্সিস কস্তা,

৭। স্বর্গীয় ফিলিপ কোড়াইয়া,

৮। স্বর্গীয় জার্মন কস্তা,

৯। স্বর্গীয় যোসেফ রোজারিও

এ পরিষদের ভূমিকা সম্পর্কে তিনি বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেন। তার প্রেরণায় অনুপ্রাণিত হয়ে প্রয়াত পিটার পিরিছের উদ্যোগে কিছু সচেতন ব্যক্তিদের নিয়ে নতুনভাবে জন্ম লাভ করা ঋণদান সমিতির যাত্রা শুরু হয়। ৬ই ডিসেম্বর ১৯৬৪র মধ্যে এর সদস্য সংখ্যা দাড়ায় ১৯ জন। এ স্বল্প সময়ের মধ্যে এ ক্রেডিট ইউনিয়ন ৩ জন নতুন কর্মী লাভ করেন। তারা হলেন ফ্রান্সিস কস্তা, পিটার পিরিছ এবং পল আগষ্টিন গমেজ। তারা আজ সকলেই মৃত।১৯৬৫ সালের ১লা জানুয়ারী প্রয়াত পল আগষ্টিন গমেজকে সভাপতি, প্রয়াত পিটার পিরিছকে ম্যানেজার প্রয়াত ফ্রান্সিস কস্তাকে কোষাধ্যক্ষ করে নতুন সাংগঠনিক রূপ নিয়ে ক্রেডিটের কার্যক্রম পরিচালিত হতে থাকে। পরে আরও কয়েকজন কর্মী যোগ দেন। তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন বেনেডিক্ট রোজারিও, জুলিয়ান কস্তা, লিও আগষ্টিন কস্তা, ষ্টিফেন কস্তা। ট্র্যাজেডি হল যারা উদ্যোগী ভূমিকা নিয়ে পরিচালনা করেছেন তাদের মধ্যে রাফায়েল পেরেরা ব্যতিত কেউই ১৯৬৪ সালে সদস্যপদ গ্রহণ করেন নাই। একই বছর ঢাকার ধর্মপ্রদেশের প্রয়াত ফাঃ ইয়াং সি.এস.সি. এবং খুলনা ধর্মপ্রদেশের দিনো বন্ধু বাড়ৈ এর কর্ম প্রচেষ্টায় বিভিন্ন ধর্মপ্রদেশে ক্রেডিট আন্দোলন দানা বাধতে থাকে। ফরসরূপ ১৯৬৫ সালে জুন মাসে ফাঃ ইয়াং দিনো বন্ধু বাড়ৈ ও মাইকেল মধুর উদ্যোগে ময়মনসিংহে এক সপ্তাহ ব্যাপি ক্রেডিট ইউনিয়নের উপর এক বিশেষ প্রশিক্ষনের আয়োজন করা হয় এবং উক্ত প্রশিক্ষনে বনপাড়া হতে ফ্রান্সিস কস্তা যোগদান করেন। ১৯৬৭ সালে পিটার পিরিছ কাজের তাগিদে ঢাকায় চলে যাবার পর ফ্রান্সিস ক্রুশকে সহযোগী করে পল গমেজ ও ফ্রান্সিস কস্তা ক্রেডিটের কাজ পুরোদমে এগিয়ে নিতে থাকেন। ক্রেডিটের কাজ আরও সহজ ও ত্বরান্নিত করার জন্য খূলনার মডেলে যাবতীয় কাগজপত্র ইংরেজী হতে বাংলায় পরিবর্তন করা হয়। সমিতির মূল নীতি নির্ধারণ করা হয়-
‘‘একতাই মহাবল, দুর্বলের বল,
বলবান হীনবল, বিবেদ কেবল।”

প্রয়াত ফাঃ পিনোস ছিলেন বনপাড়া ক্রেডিটের প্রাণ পুরুষ, দরিদ্রের ত্রাণকর্তা। তিনি দরিদ্র মানুষকে সঞ্চয়ী ও স্বাবলম্বি করার জন্য কেবল ক্রেডিটের জন্মই দিয়েছেন তা নয়, তিনি বেশ কিছু সংখ্যক ব্যক্তি যাদের সদস্য হবার ইচ্ছা প্রবল কিন্তু সামর্থ নেই তাদের ভর্তি ফি ও মাসিক আমানত (০.৫০ টাকা) নগদে দিয়ে ভর্তির ব্যবস্থা করেন। মাসিক আমানতের মোট পরিমাণ ৫ টাকা হলে একটি শেয়ার গণ্য করা হতো। বর্তমানে মাসিক শেয়ার জমা (২টি শেয়ার, ১০ টাকায় ১টি শেয়ার) ২০ টাকা। ১৯৬৫ সালে সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয় (তারিখ জানা যায়নি) ঐ সভায় ১০০ টাকা ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় যা ২৫ বছর পর ১৯৮৯ সালে ৪০০০ টাকা এবং ৫০ বছর পর ২০১৪ সালে ২৫০০০০ টাকায় উন্নীত করা হয়।

১৯৬৭-৬৮ সালের বার্ষিক সাধারণ সভায় পরিচালক মন্ডলীতে কিছু রদবদল প্রয়োজন হয়। উক্ত সভায় ২জন প্রার্থীর মধ্যে ফ্রান্সিস ক্রুশকে নির্বাচিন করা হয় সেক্রেটারী হিসেবে। পল গমেজের সভাপতিত্তে নতুন পরিচালক মন্ডলী সুষ্ঠভাবে কাজ পরিচালনা করতে থাকে।

১৯৬৪ হতে ১৯৬৯ পর্যন্ত ক্রেডিটের কাজকর্ম নির্বিঘ্নে চলতে থাকে। স্থানীয় পাল পুরোহিত সব সময় ইহার পৃষ্টপোষকতা করেছেন এবং তহবিল সংরক্ষক হিসাবে সহযোগীতা করেছেন। ১৯৭০- ৭১ সাল ছিল ক্রেডিটের জন্য মহা দুর্যোগকাল। এ সময় দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম তুঙ্গে। বেশ কয়েকজন প্রাক্তন কর্মী ক্রেডিট ইউনিয়নের কাজে নিরুৎসাহী হয়ে কাজ ছেড়ে চলে যান। কয়েকজন কর্মী (অস্থায়ী কালেক্টর) দ্বারা সীমিত ভাবে কাজ চলতে থাকে। দু‘ একজনের মধ্যে অসততার জন্য তহবিলের হিসাবে গরমিল হয় যা পরবর্তীতে ফ্রান্সিস কস্তার ঐক্লান্তিক প্রচেষ্টায় ব্যক্তিগত ঋনের মাধ্যমে তহবিলের ঘাটতি পূরণ করা হয়। ৭১-৭২ সাল পর্যন্ত ফ্রান্সিস কস্তা একাই কাজ চালিয়ে যান (শুধূ সঞ্চয় আদায়, কোন লেজার পোষ্টিং, মাসিক/বাষিক হিসাব করা হয় নাই)। সমিতির মেরুদন্ড তখনো শক্ত ও দৃঢ় হয়ে উঠেনি। ফ্রান্সিস কস্তার একক নেতৃত্বে বৃহৎ সংগঠনের হাল কোন ক্রমে ধরে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, এমন সময় উদ্যোগী নতুন কিছু যুবক ফ্রান্সিস কস্তাকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসে। তারা হলেন রাফায়েল রিবেরু (১৯৬৯) রাফায়েল পেরেরা (১৯৭০), গাব্রিয়েল কস্তা (১৯৭৪)।

ক্রেডিট ইউনিয়নের নিজস্ব কোন অফিস কক্ষ ছিল না। শুরু হতেই হাই স্কুলের অফিসকক্ষ ক্রেডিটের অফিসরূপে ব্যবহার করা হ‘ত। স্কুলের আসবাপত্র ব্যবহার করা হত। এ অবস্থা চলে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত (শেষ মিটিং ১৪/১১/১৯৭৩ সাল)। এ অবস্থায় ফাঃ পিনোস ১টি টেবিল, ২টি চেয়ার, ২টি বেঞ্চ এবং একটি ছোট আলমারী দান করেন এবং পুরাতন গীর্জার সাক্রিটি রুম অফিস হিসাবে ব্যবহার করার অনুমতি প্রদান করেন। এ অফিসে প্রথম মিটিং অনুষ্ঠিত হয় ৮/২/৭৪ সালে। আদায় ও অফিসের কাজ আরম্ভ হতো রবিবার সকালে মীসার পর । পরে সেক্রেটারী মিঃ ষ্টিফেন ডি কস্তার স্বাক্ষরিত নোটিশে ঘোষণা দেওয়া হয় শনিরার ও মঙ্গল বার (হাটেরদিন) অফিস বন্ধ থাকবে এবং অন্যান্য দিন (সোম-শুক্রবার) বৈকাল ৫টা থেকে ৮টা পর্যন্ত অফিস খোলা থাকবে। ১৪/২/১৯৬৮ হতে ১৩/৫/১৯৭০ পর্যন্ত ফ্রন্সিস ক্রুশ সেক্রেটারীর দায়িত্ব পালন করেন। ২৯/৭/১৯৭০ সাল হতে মিঃ জুিলয়ান কস্তা সেক্রেটারীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

১৪/২/১৯৬৮তারিখে অনুষ্ঠিত বোর্ড সভায় লক্ষ্য করা যায় যে, সমিতির প্রেসিডেন্ট পল আগষ্টিন গমেজকে সভার সভাপতি করে কাজ আরম্ভ করা হয়। অন্যদিকে ১/৪/৬৮ তারিখের সভায় সমিতির চেয়ারম্যান ফাঃ এল পিনোসকে সভাপতি নির্বাচন করে সভার কাজ আরম্ভ করা হয় বলে উল্লেখ আছে। ইহার পরবতী সভায় (১১/৮/১৯৬৮)পল আগষ্টিন গমেজ,২৪/৪/৬৯ তারিখে পল আগষ্টিন গমেজ, ১৩/৫/৭০ তারিখে ফাঃ এল পিনোস, ১৩/৮/১৯৭০ সালে পল আগষ্টিন গমেজ, ১৩/৫/৭০সালে পল আগষ্টিন গমেজ, ৯/১১/৭৩ তারিখে জার্মান কস্তা সভাপতিত্ব করেন। তবে এটা স্পষ্ট যে, সমিতির সভাপতি থাকলেও প্রতি সভায় একজন সভাপতি নির্বাচন করে সভার কাজ পরিচালনা করা হত। ৯/১১/৭৩ তারিখে অনুষ্ঠিত সভায় পিটার পিরিছ সভাপতি, মিঃ গাব্রিয়েল কস্তা সেক্রেটারী, রাফায়েল রিবেরু ম্যানেজার, ফ্রান্সিস কস্তাকে সহসভাপতি নিযুক্ত করা হয়। রেকর্ড অনুসারে সমিতির প্রথম সভাপতি ফাঃ এল পিনোস এবং তৎপরকর্তী ২য় সভাপতি পল আগষ্টিন গমেজ ( ফ্রান্সিস কস্তার লেখা “আমার অভিজ্ঞতায় বিগত ২৫ বছর”)। ৩য় সভাপতি পিটার পিরিছ। ১৪/২/৬৮ ( যেহেতু ই্হার পূর্বে কোন রেকর্ড পাওয়া যায় না) তারিখের সভায় দেখা যায় ডিভিডেন্ট ৪.০০% ও রিবেট ৫০% এবং পরবর্তী সময়ে (২৮/৯/৬৯) তারিখে ডিভিডেন্ড ৪.৮০% রিবেট ২৫%, শিক্ষা তহবিলে ৫%, সংরক্ষিত তহবিলে ২০% নীট লাভ হতে বন্টন করা হয়। গোড়া থেকেই শুরু হয়েছে ঋণ খেলাপী করা -২৪/৪/৬৯ তারিখের বোর্ড সভায় অনাদায়ী ঋণ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। তখন ১০০টাকা করে ঋণ দেওয়া হত।তখন থেকেই খেলাপী শুরু। পরে ২৪/৪/৬৯ তারিখে ২০০ টাকা ঋণ দেয়া হয় আর আজ আড়াই লক্ষ টাকা। কিন্তু খেলাপী হবার সংস্কৃতি আজও শেষ হয় নাই, চলছে এবং সম্ভবত; চলতেই থাকবে।

Scroll to Top