যদি তুমি টাকা ধার কর
তাহলে ব্যাংকের কাছে দায়ী
আর যদি সঞ্চয় করো
তাহলে ব্যাংক তোমার কাছে দায়ী।
—অস্ট্রিয়ান প্রবাদ
কথায় আছে আজকের সঞ্চয় আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। সুতরাং আজকের সঞ্চয় দ্বারা আগামী ভবিষ্যতকে সুন্দরভাবে গড়ে তোলা সম্ভব। সঞ্চয় বা আহরণ আমাদের সকলের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই সঞ্চয় হতে পারে অর্থ সম্পদ বা জ্ঞান। অর্থ সম্পদ ও সঞ্চয়ী জ্ঞান আমাদের প্রত্যেকের জীবনে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গঠনে অপরিসীম ভূমিকা পালন করে থাকে। পৃথিবীতে সঞ্চয়ী ব্যক্তিরা জীবনে সফলতা লাভ করতে পারে। আজকের উন্নত বিশ্ব গঠনে সঞ্চয়ের ভূমিকা অপরিসীম। পৃথিবীতে যে জাতি যত বেশি সঞ্চয়ী, সে জাতি তত বেশি উন্নত। সঞ্চয় ছাড়া জীবনে উন্নতি লাভ করা সম্ভব নয়। আমাদের জীবনে সফলতা লাভ করতে চাইলে আমাদের প্রত্যেকের উচিত কঠোর পরিশ্রম করে সঞ্চয় করা। ওয়ারেন বাফেট বলেন,“যদি তুমি সঞ্চয় না করে বিরতিহীন অপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনে থাকো তাহলে শীঘ্রই তোমাকে প্রয়োজনীয় জিনিস বিক্রি করতে হবে।” ছাত্র জীবনে আমাদের প্রত্যেককেই সঞ্চয়ী মনোভাব গড়ে তুলতে হবে। সঞ্চয় করার ফলে আমাদের ছাত্র— ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল ও আলোকময় হবে।আমি নিম্নে ছাত্র জীবনে সঞ্চয়ী হওয়ার কয়েকটি উপায় বা মাধ্যম নিয়ে আলোচনা করব।
ছাত্র জীবনে সঞ্চয়ী হওয়ার কয়েকটি উপায়:—
- বিদ্যালয়ের এক/দুই দিনের টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে।
- বিভিন্ন অনুষ্ঠানের সময় প্রাপ্ত উপহারের মূল্য সংগ্রহ করে।
- অযথা মোবাইলে টাকা নষ্ট না করে।
- ছোট বাচ্চাদের প্রাইভেট পড়িয়ে সেখান থেকে প্রাপ্ত কিছু টাকা জমা করে।
- বড়দিন/ইস্টারের সেলামি জমা করে।
- অতিরিক্ত খরচ কমিয়ে দিতে হবে।
উপরোক্ত মাধ্যমগুলো মেনে চললে আমরা ছাত্র জীবনে সঞ্চয়ী হয়ে উঠতে পারব। একজন ছাত্র বা সন্তান যখন সঞ্চয়ী হতে শিখে তখন তার ব্যক্তি জীবনে সে অনেকটা এগিয়ে যেতে সম্ভব হবে। বর্তমান সময়ে ছাত্র—ছাত্রীরা প্রচুর পরিমাণে টাকা পয়সা, অর্থ—সম্পদ, বিভিন্ন ধরণের নেশা ও অন্যান্য কিছুর পিছনে খরচ করছে। এ সকল অর্থ—সম্পদ যদি ছাত্র—ছাত্রীরা সঞ্চয় করতে শিখে তবেই তার ভবিষ্যৎ গৌরবজ্জ্বল হবে।