ক্রেডিট পরিবার ও সুম্পর্ক

পঞ্চাশ বছর পূর্বে বনপাড়া খ্রিষ্টান কো—অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি: এর জন্ম হয়েছিল। তৎকালীন সময়ে হাতে গোনা পাঁচ—সাতজন সদস্য নিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছিল। নাম ছিল বনপাড়া সমবায় ঋণদান সমিতি। সেই সময় হারোয়া, বনপাড়া, কালিকাপুর, বাহিমালী, ছাতিয়ানগাছা, শ্রীখন্ডী ও ভবানীপুর এবং রাজাপুর নিয়ে কিছু সংখ্যক পরিবার সদস্যদের আগমন ঘটে এই সমিতিতে আগমনের তেমন কোন জাঁকজমক পরিবেশ ছিল না। সংখ্যায় অনেক কম হলেও কয়েক জনের সহায়তায়, আগামী প্রজন্মের ভবিষৎ ভেবে অন্ধকার থেকে আলোর পথ দেখার আশায় তিল তিল করে তাল, হাটি হাটি পাঁ পাঁ করে পথ চলতে থাকে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর উদ্দেশ্যে। এক টাকা, দুই টাকা, পাঁচ টাকা, দশ টাকা। এই বিন্দু বিন্দু সঞ্চয় জমতে জমতে পূনার্ঙ্গ রুপ ধারণ করতে থাকে। সদস্য সদস্যার সংখ্যা পর্যায়ক্রমে বাড়তে থাকে আর এই গতি থেমে থাকেনি। বিভিন্ন প্রচেষ্টা চালিয়ে বর্তমান প্রেক্ষাপট এর রুপ চচার্ বেড়েেই চলেছে। বিভিন্ন প্রকল্প যেমন শিক্ষা, শিশু—কিশোর, সহযোগী, স্বাস্থ্য সেবা কৃষি উৎসব ইত্যাদি নিয়ে সদস্য সংখ্যা বেড়ে আজ বলব পরিপূর্নতায় প্রতিষ্ঠিত। বনপাড়া খ্রিষ্টান কো—অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নের পঞ্চাশ বছরের গোল্ডেন জুবিলী কয়েক বছর আগেই জাঁক জমকপূর্ন আনন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে পালন করা হয়েছে। আজ আমার সত্যিই গর্ববোধ এই ভেবে যে, আমাদের পূর্বের প্রবীন দাদুদের প্রজন্মের কথা আর চিন্তা চেতনা বাসনা আজ স্বার্থক হয়েছে। তাদের আত্মার চির শান্তি আমাদের প্রতিদিনের প্রার্থনায় স্মরণ করি। আমাদের পূর্ব পুরুষ যারা এই ক্রেডিট নিয়ে বেশী চিন্তা ভাবনা এবং অক্লান্ত পরিশ্রম করে গেছেন তাদের অনেক অনেক অভিনন্দন শুভেচ্ছা। আমার ভাষায় আমি তাদের বলতে চাই একটি পরিবারে যা যা প্রয়োজন আমি মনে করি বর্তমান ক্রেডিটগুলো সত্যি এক একটি পরিবার সমতুল্য এইটা ভেবেই আমাদের সর্বদা পথ চলা উচিৎ। বলে যেতে চাই ঈশ্বর মানুষের মাঝে সন্ধি স্থাপন করে গেছেন কারণ মানুষ কখনো একা বাস করতে পারে না। তাইতো আদমকে একা দেখে তার মন অস্থির হয়েছিল বলে হবাকে সঙ্গিনী করে পরিবার ঘটানোর পরিকল্পনাকে পাঠিয়েছিলেন পৃথিবীতে। আর যেই থেকে আমরা মানুষ মানুষের সঙ্গে যেন সর্বদা সুসম্পর্ক রেখে সততা নিয়ে প্রথমে পরিবার সমাজ, গ্রাম, মন্ডলী, দেশ যার যার ধর্ম সঠিকভাবে পালন করে থাকি। আমাদের আরও মনে রাখা দরকার ক্রেডিটকে শুধু একটা প্রতিষ্ঠানই না ভাবি। শিক্ষা ক্ষেত্রে আমরা যেন প্রতিষ্ঠানের চোখে না দেখি। এই সব কিছু যেন একটি পরিবারের মত। এই ক্রেডিট পরিবারের সকল সদস্য সদস্যদের যেন কখনো কারও দাশ হয়ে থাকতে না হয়। সবাই আমরা যেন সবার তরে। সকলের প্রচেষ্ঠায় সুন্দর, সফলতাই সুনাম ধন্য অর্জন করুক। শুধু অর্থায়ন নয়। আধ্যাত্মিকতা উন্নয়নের উপর গুরুত্ব প্রাধান্য বেশী প্রয়োজন। ঈশ্বরের সঙ্গে যেমন আমাদের সর্বদা সুসম্পর্ক দরকার তেমনিভাবে মানুষের সঙ্গেও সুসম্পর্ক নিয়ে জীবন পথ চলি। আমাদের সুসম্পর্ক উন্নয়নের চলার পথ যেন আগামী প্রজন্মের সুদৃষ্টান্ত প্রত্যেকের অন্তরে লাভ করতে পারে। তবেই হবে আমাদের জীবন স্বার্থক ধন্য। পরিশেষে সকল মানব জাতির জীবনে নেমে আসুক খ্রীষ্ট প্রভুর শুভ আগমন আনন্দ, সুখ, শান্তি, ভালবাসা। এই ভালবাসা হারিয়ে যাবেনা, থাকবে চির কাল অন্তরে আমেন।

মি. আলেকজান্ডার কোড়াইয়া

1 thought on “ক্রেডিট পরিবার ও সুম্পর্ক”

  1. Augustine D' Cruze

    দাদা, তোমার কথাগুলো বেশ ভালো লেগেছে। ক্রেডিট ইউনিয়নের বর্তমান অবস্থায় ভক্তদের জন্য অনেক কিছু করতে পারে। তারজন্য চাই নেতৃবৃন্দের ইচ্ছা, সততা ও ন্যায্যতা। কিন্তু ক্রেডিটের বর্তমান আর্থিক অবস্থা দেখে অনেকেই লোভ সামলাতে পারছেন না। সদস্য-সচেতনতাই পারে এই ধরনের অপতৎপরতা থেকে ক্রেডিটকে রক্ষা করতে। তাই আসন্ন নির্বাচনে যোগ্য নেতৃত্ব খুঁজে পেতে চাই সকলের আন্তরিকতা। ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top